অংবাচিং মারমা রুমা, উপজেলা প্রতিনিধি: বান্দরবানে রুমা উপজেলা ২ নং রুমা সদর ইউনিয়নে বেথেল পাড়া বাসি পেঁপে চাষ করেন এম্মানুয়েল বম। গত- ৩০ সেপ্টেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পেঁপে চাষি এম্মানুয়েল বম নিজ জমিতে রোপন করেন ও নিজে তৈরিকৃত পেঁপে চারা-৫ শতক জমিতে -৮ শত চারা রোপন করেছেন।

এইসময় পেঁপে চাষি এম্মানুয়েল বম বলেন উপজেলা কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা সুতিমল তংচংগ্যা পরামর্শ নিয়ে আজ সবগুলো গাছে এসেছে ফুল ফল। গাছের সাইজ ৩-৫ ফিটে হলেও ফল ধরেছে ২ ফিটে। গাছের এমন ফল ফুল দেখে মুখে হাসি ফুটেছে পেঁপে চাষি এম্মানুয়েল বম । এতেই তিনি বলেন অন্যান্য ফসলের থেকে পেঁপে চাষে তুলনামূলক ব্যয় খুব কম।

ব্যয়ের তুলনা আয়ের পরিমাণ সবসময় বেশি থাকে। পেঁপে বাগানের সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ৫০ -৬০ হাজারে ব্যয় হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে বলে জানান এম্মানুয়েল বম । এসময় কৃষি উপসহকারী সুতিমল তংচংগ্যা বলেন একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গাছ থেকে ১ থেকে ২ বছরে গরে ১০০ কেজি পেঁপে সংগ্রহ করা যাবে বলে জানান। তিনি আরো বললেন স্থানীয় বাজারে পেঁপে মণ-৭০০ টাকা থেকে-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে। সেই হিসেবে ৫- ৬ লক্ষ টাকা সপ্ন দেখেছেন পেঁপে চাষি এম্মানুয়েল বম।

পেঁপে চাষি এম্মানুয়েল বম বলেন এইসব হাইব্রিড জাতের পেঁপে চারা রোপনে ৬০ থেকে ৭০ দিন পর থেকে ফুল আশা শুরু করছে। রোপনে তিন থেকে সারেই তিন মাসের মধ্যে প্রতি পেঁপে গাছের গরে ২৫ থেকে ৩০ টি করে পেঁপে ধরছে। বর্তমানে গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত সবুজ দৃষ্টি পেঁপে ধরছে। তাই কম খরচে এমন ফলন ফলিয়ে যে কেউ ১-৩ শতকের মধ্যে পেঁপে চাষ করে হবে লাখপতি।

কারন এখানেই কাচা পেঁপে পাইকারি মুল্যে ১৭-২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে কাঁচা পেঁপে চেয়ে পাকা পেঁপে বিক্রি লাভজনক। প্রতিটি পাকা পেঁপে গরে ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এতেই উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইউছুফ বলেন রুমা উপজেলা পেঁপে চাষ এতটাই এগোতে পারেনি। কারন এখানে বন্যা বেশি হয়,বৃষ্টি পানি জমে থাকে এবং খরা, পেঁপে কিন্তু পানি সহ্য করতে পারিনাই বলে জানান।

তিনি আরো বলেন রুমা উপজেলা চাষিরা সবজি হিসাবে আমাদের কৃষকরা অনেক চাষাবাদ করেছে। আরো কেউ পেঁপে চাষে করতে চাইলে আমাদের থেকে সার্বক্ষণিক সুপরামর্শ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।